ট্রাম্প বললেন, অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করবেন আইনের সর্বোচ্চ সীমায়

একটি গম্ভীর চেহারার ব্যক্তি, নীল স্যুট এবং লাল টাই পরিহিত, তার আশেপাশে মানুষের উপস্থিতি নিয়ে একটি কক্ষে প্রবেশ করছেন।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি জনসমাগমে উপস্থিত হচ্ছেন, যেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
ডিসেম্বর ১২ (গ্লোবাল টাইমস বাংলা): যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীকে আইনের সর্বোচ্চ সীমায় ব্যবহার করবেন। বৃহস্পতিবার গ্লোবাল টাইমস বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, এটি দেশের জন্য একটি “আক্রমণ” এবং এ বিষয়ে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে আইনগত সম্পদ ব্যবহার করবেন।

আইন ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি এটিকে আমাদের দেশের ওপর একটি আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করি। আমরা জাতীয় গার্ড মোতায়েন করব এবং আমাদের দেশের আইন অনুসারে যতদূর সম্ভব যাব।” ট্রাম্পের পরিকল্পনার আওতায় সেনাবাহিনী সীমান্তে সমর্থনমূলক ভূমিকা পালন করবে, যেখানে অভিবাসন কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের আসন্ন সীমান্ত বিষয়ক কর্মকর্তা টম হোম্যান ফক্স নিউজকে বলেছেন, “আমরা প্রতিরক্ষা বিভাগের সহায়তা চাইব বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন পরিবহন, অবকাঠামো নির্মাণ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং লক্ষ্য নির্ধারণে।”

গণ নির্বাসনের পরিকল্পনা

২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ট্রাম্প আবারও অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানিয়েছেন, চার বছরের মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত সকল অভিবাসীকে নির্বাসন করার লক্ষ্যে কাজ করবেন।

ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১১ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের তথ্য অনুসারে, এত বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে নির্বাসনে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে।

অভিযানের চ্যালেঞ্জ

ট্রাম্প তার ২০১৭-২০২১ মেয়াদে নির্বাসন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হন। ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এবং সীমান্ত কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগেও এই সংখ্যা প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে আরো বেশি অভিবাসী নির্বাসিত হয়, যা ট্রাম্পের যেকোনো বছরের তুলনায় বেশি।

জাতীয় প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক

গ্লোবাল টাইমস বাংলা/ডেস্ক পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি মার্কিনিদের মনোভাব কিছুটা কঠোর হয়েছে। তবে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত কঠিন এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত কৃষি ও অন্যান্য শ্রমনির্ভর শিল্পে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্লোবাল টাইমস বাংলার শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url