বলিউডের ছায়ায় আর্ট-হাউস চলচ্চিত্রের নতুন জয়যাত্রা

তিন নারীর জীবন ও মুম্বাই শহরের বৈপরীত্য নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের পোস্টার।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আর্ট-হাউস চলচ্চিত্র 'অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট।

মুম্বাই, ২৭ ডিসেম্বর, (গ্লোবাল টাইমস বাংলা): ভারতীয় সিনেমা বলিউডের গ্ল্যামারের জন্য বিখ্যাত, তবে এই বছর একটি আর্ট-হাউস চলচ্চিত্র, "অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট", নতুন ধারার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করেছে। তিনজন নারীর জীবন ও প্রেমের জটিলতা নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বেশ কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করেছে।

চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে গ্র্যান্ড প্রিক্স জয় করেছে এবং এটি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসে সেরা পরিচালক এবং অ-ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনীত প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র। আগামী ৫ জানুয়ারি এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

পরিচালক পায়েল কাপাডিয়া ও চলচ্চিত্রটির যাত্রা

পরিচালক পায়েল কাপাডিয়া তার প্রথম চলচ্চিত্রে দেশের পাশাপাশি বিদেশে যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন, তা তার জন্য এক বড় প্রাপ্তি।

"ভারতে স্বাধীন চলচ্চিত্রগুলোর জন্য সিনেমা হলে জায়গা পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু দর্শকদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা অসাধারণ। এখন আমি চাচ্ছি ছোট শহরগুলোতেও এই ছবিটি দেখানো হোক," কাপাডিয়া গ্লোবাল টাইমস বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন।

আর্ট-হাউস চলচ্চিত্রগুলো বলিউডের প্রধান ধারার গানে-নাচে ভরা সিনেমার তুলনায় বেশ পিছিয়ে থাকে। তবে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর কারণে নতুন প্রজন্মের দর্শকের রুচি পরিবর্তন হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে বক্স অফিস সাফল্য ও অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস প্রবেশ

বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই ২০ লাখ ডলারের বেশি আয় করেছে "অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট"। এটি সেরা ছবি, সেরা পরিচালক এবং সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের জন্য অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এটি অস্কারের সেরা বিদেশি চলচ্চিত্র বিভাগে ভারতের অফিসিয়াল জমা দেওয়া ছবি নয়।

পরিচালক কাপাডিয়া জানান, এই ছবির ভাবনা তার মাথায় আসে একটি হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে বসে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি হিসেবে পরিকল্পিত হলেও এটি তৈরি করতে লেগেছে পুরো আট বছর।

ছবির বিশেষত্ব ও মুম্বাই শহরের বৈপরীত্য

চলচ্চিত্রটির গল্প মুম্বাই শহরে বসবাসকারী তিনজন অভিবাসী নারীর বন্ধুত্ব ও প্রেমকে ঘিরে। মুম্বাইয়ের ১.২ কোটি মানুষের ব্যস্ত নগরজীবন চলচ্চিত্রটির মূল প্রেক্ষাপট। "মুম্বাই একটি বৈপরীত্যের শহর। এখানে জীবন কঠিন, কিন্তু এটি মানুষকে স্বাধীনতার একটি অনুভূতিও দেয়," কাপাডিয়া বলেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চলচ্চিত্রটিকে বছরের অন্যতম প্রিয় সিনেমা হিসেবে তার সামাজিক মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্লোবাল টাইমস বাংলার শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url