বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে বাধা হতে পারে বাণিজ্যিক রক্ষণশীলতা: ওইসিডি
বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২০২৪ ও ২০২৫ সালে স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ওইসিডি। |
বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২০২৪ ও ২০২৫ সালে স্থিতিশীল থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। তবে, সংস্থাটি সতর্ক করেছে যে পুনরুজ্জীবিত বাণিজ্যিক রক্ষণশীলতা (প্রোটেকশনিজম) এ প্রবৃদ্ধিকে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ওইসিডি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩.২% হারে এবং ২০২৫ ও ২০২৬ সালে ৩.৩% হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি কমার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সুদের হার কমানোর ফলে অনেক দেশে আর্থিক স্থিতিশীলতা আসতে পারে। তবে কিছু দেশে কঠোর আর্থিক নীতিমালা এ প্রবৃদ্ধিকে আংশিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
বিশ্ব বাণিজ্যে রক্ষণশীলতার প্রভাব
২০২৩ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্য যেভাবে স্থবির হয়েছিল, ২০২৪ সালে তা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩.৬% হারে বাড়তে পারে। তবে ক্রমবর্ধমান আমদানি নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক নীতির ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ওইসিডি জানিয়েছে, "বাণিজ্যিক উত্তেজনা এবং প্রোটেকশনিজম বাড়লে তা সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করবে এবং ভোক্তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে। এর ফলে অর্থনীতির স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিতে বাধা আসবে।"
বিভিন্ন অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি পরিস্থিতি
বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন রকম হতে পারে। প্রতিবেদনে অঞ্চলভিত্তিক কিছু পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে:
- যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ২.৮% হলেও তা ২০২৫ সালে কমে ২.৪% এবং ২০২৬ সালে ২.১% হবে।
- চীন: ভোক্তা ব্যয়ের স্থবিরতার কারণে চীনের প্রবৃদ্ধি ২০২৪ সালে ৪.৯% থেকে ২০২৬ সালে ৪.৪% এ নেমে আসতে পারে।
- ইউরোপ: ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের প্রবৃদ্ধি ২০২৪ সালে ০.৮% থেকে ২০২৬ সালে ১.৫% এ উন্নীত হবে।
- যুক্তরাজ্য: রিয়েল ইনকামের বৃদ্ধি এবং সরকারি ব্যয়ের ফলে যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে ১.৭% পর্যন্ত উঠতে পারে।
- জাপান: জাপান ২০২৪ সালে ০.৩% সংকোচনের পর ২০২৫ সালে ১.৫% হারে বৃদ্ধি পাবে।
মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ
বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেছে। ফলে বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সুদের হার ধীরে ধীরে কমানোর নীতিতে অগ্রসর হচ্ছে। তবে, জাপানে এই পরিবর্তন দেখা যাবে না।
ওইসিডি উল্লেখ করেছে যে বেশিরভাগ দেশের ঋণের ভার বেশি হওয়ায় সরকারগুলোকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
গ্লোবাল টাইমস বাংলার শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url