চ্যাটজিপিটি’র সামনে কি তবে শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে আসছে ডিপসিক?
ডিপসিক: চীনের নতুন এআই স্টার্টআপ, যা বিশ্বজুড়ে প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করছে। |
২৫ ডিসেম্বর, (গ্লোবাল টাইমস বাংলা): পৃথিবীজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। এই প্রতিযোগিতায় নতুন করে যোগ হয়েছে চীনের হ্যাংজু শহর থেকে শুরু হওয়া স্টার্টআপ ডিপসিক (DeepSeek)। গ্লোবাল টাইমস বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি এবং গুগলের জেমিনি-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
ডিপসিককে তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে "এক রহস্যময় শক্তি", যা চীনের এআই প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ডিপসিক-এর প্রতিষ্ঠার পটভূমি এবং লক্ষ্য
ডিপসিকের সদর দপ্তর চীনের হ্যাংজু শহরে। একসময় এই শহর চা এবং সিল্কের জন্য বিখ্যাত ছিল, কিন্তু বর্তমানে এটি প্রযুক্তি জায়ান্ট আলিবাবার প্রধান হাব হিসেবে পরিচিত।
ডিপসিকের লক্ষ্য কেবল একটি ভাষা মডেল তৈরি করা নয়, বরং একটি কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (Artificial General Intelligence বা AGI) তৈরি করা। এজিআই এমন এক মডেল, যা মানুষের মতো যুক্তি তৈরি এবং বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।
ডিপসিক দাবি করেছে যে তারা এজিআই-এর অজানা রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
ডিপসিক-এর অর্থায়ন এবং নেতৃত্ব
ডিপসিকের মূল অর্থায়ন এসেছে চীনের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাই-ফ্লায়ার, যা ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং চীনের বৃহত্তম কোয়ান্টিটেটিভ ফান্ডগুলোর একটি।
ডিপসিকের সিইও লিয়াং ওয়েনফেং এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি হাই-ফ্লায়ারেরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার নেতৃত্বে ডিপসিক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং ইতোমধ্যেই ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল সংগ্রহ করেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যত এবং ডিপসিকের পরিকল্পনা
ডিপসিক কেবল একটি এআই মডেল তৈরিতে সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিষ্ঠানটি একটি ভবিষ্যৎ তৈরিতে কাজ করছে যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হবে ড্রোন ও ইলেকট্রিক গাড়ির মতোই সাধারণ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিপসিক চীনের এআই শিল্পে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।
গ্লোবাল টাইমস বাংলার শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url