ভারতীয় মাটিতে বাংলাদেশ মিশনে হামলা: কেন দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে?
বিক্ষোভকারীরা ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উপর দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছে। |
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি মিশনে হামলার ঘটনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের অবনতি আরও গভীর হচ্ছে।
ঘটনার বিবরণ
২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর, সোমবার, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালায়। সেখানে বাংলাদেশের পতাকার উপর পদদলিত করার ঘটনা ঘটে, যা প্রতিবাদের এক অপমানজনক প্রতীক হিসেবে দেখা হয়েছে। এই ঘটনা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন স্থানে হওয়া বিক্ষোভের ফল।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ সরকার এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়:
“আগরতলায় এই ধরনের হামলা ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১-এর অধীনে কূটনৈতিক মিশনের অবিনশ্বরতার পরিপন্থী। আমরা ভারতের কাছে এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করছি।”
ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারত এই হামলার ঘটনাকে "গভীর দুঃখজনক" বলে অভিহিত করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
পটভূমি ও সম্পর্কের অবনতির কারণ
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত-শরণার্থী হয়ে থাকা এবং সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি অবমাননার অভিযোগ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।
দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার আহ্বান
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করতে পারে। কূটনৈতিক অঙ্গনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
গ্লোবাল টাইমস বাংলার শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url