অস্ট্রেলিয়ার বেকারত্বের হার আট মাসের সর্বনিম্নে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কমেছে
অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারে আশ্চর্যজনক উন্নতি, বেকারত্বের হার আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে। |
সিডনি, ১২ ডিসেম্বর (গ্লোবাল টাইমস বাংলা) - অস্ট্রেলিয়ার বেকারত্বের হার নভেম্বরে আশ্চর্যজনকভাবে কমে আট মাসের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে, যখন কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিসংখ্যান শ্রমবাজারের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি দৃঢ়তার প্রমাণ দেয়।
এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক (Reserve Bank of Australia - RBA) ফেব্রুয়ারিতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছিল। তবে এই শ্রমবাজারের শক্তিশালী ফলাফল সেই সম্ভাবনাকে কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মান ০.৬% বেড়ে দাঁড়িয়েছে $০.৬৪০৯-এ, এবং তিন বছরের বন্ড ফিউচার ৭ পয়েন্ট কমে ৯৬.১৯২-এ নেমে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা এখন ৫৫%, যা আগে ছিল ৬৮%।
অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী:
- বেকারত্বের হার অক্টোবরে ৪.১% থেকে নভেম্বরে ৩.৯%-এ নেমে এসেছে, যা মার্চের পর সর্বনিম্ন।
- কর্মসংস্থান বেড়েছে ৩৫,৬০০, যেখানে পূর্বাভাস ছিল ২৫,০০০।
- পূর্ণকালীন কর্মসংস্থান বাড়ার ফলে এই উন্নতি হয়েছে।
- অংশগ্রহণের হার সামান্য কমে ৬৭.০% হয়েছে।
গ্লোবাল টাইমস বাংলা-এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির সাম্প্রতিক জাতীয় প্রতিবেদন থেকে মনে হচ্ছিল, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেব্রুয়ারিতে সুদের হার কমাতে পারে। কিন্তু শ্রমবাজারের এই শক্তিশালী ফলাফল সেই অনুমানকে হ্রাস করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত:
এএনজেড-এর জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ অ্যাডিলেইড টিমব্রেল বলেছেন, “জাতীয় প্রতিবেদন থেকে ফেব্রুয়ারিতে সুদের হার কমার ঝুঁকি বাড়লেও, এই শ্রমবাজারের ফলাফল সেই ঝুঁকিকে কিছুটা প্রতিহত করছে।”
রিজার্ভ ব্যাংক গত এক বছরে সুদের হার ৪.৩৫%-এ স্থিতিশীল রেখেছে। ব্যাংকের গভর্নর মিশেল বুলক জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির বৈঠকের আগে চাকরির প্রতিবেদন, মুদ্রাস্ফীতি এবং খুচরা বিক্রির তথ্য পর্যালোচনা করা হবে।
অন্যদিকে, তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল হওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেকারত্ব বাড়ানোর প্রয়োজন নাও হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
শ্রমবাজারের পরিসংখ্যান:
অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারে কর্মঘণ্টার সংখ্যা নভেম্বরে স্থিতিশীল ছিল। তবে আংশিক বেকারত্বের হার কমে ৬.১% হয়েছে, যা এপ্রিল ২০২৩-এর পর সর্বনিম্ন।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বাজার অর্থনীতির প্রধান টাপাস স্ট্রিকল্যান্ড বলেছেন, “যদি শ্রমবাজার পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং এই প্রবণতা ধরে রাখে, তাহলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।”
গ্লোবাল টাইমস বাংলার শর্তাবলী মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url